এক মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠতেই তন্ময়কে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সাসপেন্ড করেছে সিপিএম। এদিকে, বুধবারও বিকেলে তন্ময় ভট্টাচার্যকে একপ্রস্থ জেরা করে পুলিশ। তাঁকে প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে বরাহনগর থানায় জেরা করা হয়।
সংবাদিককে হেনস্থা কাণ্ডের অভিযোগে বুধবার বিকেলের দিকে বরানগর থানায় পৌঁছন তন্ময় ভট্টাচার্য। ঘড়িতে তখন প্রায় পৌনে ৫ টা। সন্ধ্যা ৬ টা ১৮ মিনিট হতেই তিনি বেরিয়ে আসেন। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে বৃহস্পতিবারও তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে বলে। ইতিমধ্যেই সিপিএম থেকে সাসপেন্ড হওয়া তন্ময় ভট্টাচার্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা ইন্টারনাল কম্প্লেন কমিটি (আইসিসি) খতিয়ে দেখবে।
এদিকে, এর আগে, কার্যত ইন্টারনেটে ঝড় তুলে রবিবার এক মহিলা সাংবাদিক দাবি করেন, তিনি যখন তন্ময় ভট্টাচার্যের বরাহনগরের বাড়িতে সাক্ষাৎকার নিতে যান, তখন তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তন্ময় ভট্টাচার্য। এই গোটা ঘটনার কথা ওই মহিলা সাংবাদিক ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন। তবে বরাহনগর থানায় এই নিয়ে অভিযোগের আগে, ওই মহিলা সাংবাদিক আগে পেসবুকে লাইভ করে এই কথাগুলি জানান। পরে তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ করেন। সাংবাদিকের অভিযোগ, তন্ময় ভট্টাচার্য তাঁর কোলে বসে পড়েন। অন্যদিকে, অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ করে পুলিশ। সোমবার প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বরাহনগর থানায় জেরা করা হয় তন্ময় ভট্টাচার্যকে।
এই সব কিছুর মাঝে তন্ময় ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পনা মাফিক কুৎসা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন আমার বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বেশ হাসিখুশি ছিলেন' ওই মহিলা। তন্ময় ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘ফেসবুকে লাইভে তিনি বলেন যে, শ্লীলতাহানির পর তিনি ওই অবস্থাতেই ইন্টারভিউ নিয়েছেন। তাহলে ইন্টারভিউটা দেখাল না কেন। ইন্টারভিউটা দেখলেই তো সব সামনে এসে যাবে।’
এদিকে, যেদিন বরানগর থানা তন্ময় ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠায়, সেই দিনই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, খতিয়ে দেখার কথা সুপারিশ করা হয়েছে আইসিসিকে। দলের অভ্যন্তরের এই কমিটির মাথায় রয়েছেন বর্ধমানের নেত্রী অঞ্জু কর। কমিটি কবে তন্ময়কে ডাকবে, তা ঠিক করবে আইসিসি।