রাজ্যে আবারও ধর্ষণ। টিউশন থেকে ফেরার সময় এক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল! আর তারপরেই লোকলজ্জার ভয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করল কিশোরী। তবে পরিবারের তৎপরতায় কিশোরীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ভাইফোঁটার দিন এমনই গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। তবে ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোরতর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে শিশুকন্যাকে 'ধর্ষণ করে খুন', সমাজ সংস্কারের বার্তা কুণাল ঘোষের
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার শিমুলপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর নাম সুজিত পাল ওরফে বাবুসোনা। পরিবারের অভিযোগ, বাবুসোনা প্রায় দেড় বছর ধরে তাদের মেয়েকে উত্তপ্ত করে আসছে। এর আগে মেয়ে একাধিকবার তাদের সে কথা বলেছে। তাই বলে ওই যুবক যে এরকম কাণ্ড করে বসবে তা জানা ছিল না পরিবারের। জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও টিউশন পড়তে গিয়েছিল দশমের ছাত্রীটি। এরপর সন্ধ্যায় টিউশন থেকে ফেরার সময় তার পথ আটকাই বাবুসোনা। প্রথমে বাবু সোনা মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দেয় কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কিশোরী। এরপরেই বাবুসোনা মেয়েটিকে জোর করে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে যুবক।
মেয়েটি পড়ে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু, লজ্জায় সে কথা বাড়িতে বলে না। চুপ চাপ থাকে। এরপরের দিন শনিবার দুপুর ৩ নাগাদ সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে। সে সময় পরিবারের লোকেরা দেখে ফেলে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে সব ঘটনা পরিবারকে খুলে বলে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক হল তার প্রতিবেশী। শুধু তাই নয় সে বিবাহিত। তারপরেও সে দশম শ্রেণির মেয়েটির পিছনে পড়েছিল গত কয়েক বছর ধরে। এরপর পরিবার ওই যুবকের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানাতে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছে পরিবার। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পাশাপাশি মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।