ট্যাব বা স্মার্ট ফোন কেনার জন্য রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। সেই টাকায় ট্যাব বা স্মার্ট ফোনই কেনা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হতে স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের ট্যাব ও স্মার্ট ফোন কেনার বিল বা ভাউচার সংগ্রহ করে তিন-চার দিনের মধ্যেই বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করতে হবে। আর এই নির্দেশিকায় মহামুশকিলে পড়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা।
করোনা আবহে এখনও স্কুল বন্ধ। ১৬ নভেম্বর খুলছে স্কুল। তার আগে পড়ুয়ারা স্কুলে এসে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার বিল জমা দিচ্ছে না। অনেক পড়ুয়ারা আবার এখনও ট্যাব কেনেইনি। তাই বিল জমা দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। আবার বহু জায়গায় কোনও কোনও পড়ুয়া পড়াশোনাই ছেড়ে দিয়েছে। তবে তার অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে টাকা। এই আবহে ট্যাব কেনার বিল জোগাড় করতে গিয়ে মাথায় হাত বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের।
এদিকে স্কুলের তহবিলে টাকা আসেনি। তবুও কেন স্কুলকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হবে? এই প্রশ্ন শোনা গিয়েছে অনেক প্রধান শিক্ষকের মুখেই। তাছাড়া প্রশ্ন, আবার কেন ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার আসল বিল জমা করতে হবে? জমা করার পর ওই যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিলে সার্ভিসিং কী করে করানো হবে? অন্যদিকে, নকল বিল তৈরি করে জমা দেওয়া হচ্ছে বহু স্কুলে। সেই বিল যাচাই করার দায় প্রধান শিক্ষকদের বহন করতে হবে। এই বিষয়েও চিন্তায় প্রধান শিক্ষকরা। এদিকে অভিযোগ উঠেছে অধিকাংশ পড়ুয়া ডিজিটাল ডিভাইজকে শিক্ষার ক্ষেত্রে কম, বিনোদনের জন্য অনেক বেশি ব্যবহার করছে।