বাগডোগরা বিমানবন্দরের নামকরণ নিয়ে কার্যত দড়ি টানাটানি তুঙ্গে উঠেছে। সোশ্য়াল মিডিয়াতেও এই বিমানবন্দরের নামকরণ নিয়ে নানা ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এমনকী একাধিক সংগঠন এনিয়ে ইতিমধ্য়েই প্রস্তাব পাঠাতে শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও স্তর থেকে নামকরণ নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে কোন নামটি কেন দেওয়া দরকার তা নিয়ে অনেকেই লম্বা চাওড়া লিখতে শুরু করেছেন। এমনকী বাগডোগরা আন্তর্জাতিক মানের হওয়ার পরে কাঞ্চনজঙ্ঘার নামে নামকরণ করে একটা সমতা রক্ষা করা দরকার বলেও দাবি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারপরই তার নয়া নামকরণ নিয়ে নানা প্রস্তাব।
ইতিমধ্য়েই বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে যে মংপুর সঙ্গে কবিগুরুর একটা আত্মিক সম্পর্ক ছিল। একাধিকবার তিনি এসেছিলেন মংপুতে। সেক্ষেত্রে বাগডোগরার নাম রবি ঠাকুরের নামে করা হোক।
অপর পক্ষের দাবি তেনজিং নোরগের নামে করা হোক বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম। এর মাধ্যমে প্রখ্যাত পর্বতারোহীকে সম্মান জানানো যাবে।
অপর পক্ষের দাবি নেপালি আদি কবি ভানুভক্তের নামে করা হোক বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম। এর মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা যাবে।
তবে এবার দাবি উঠতে শুরু করেছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম বীর চিলা রায়ের নামে করা হোক। কোচ রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা নর নারায়ণের প্রধান সেনাপতি ছিলেন চিলা রায়। বীর চিলা রায়। কোচবিহার সাগর দিঘি প্রাঙ্গন সহ নানা জায়গায় দেখা যায় সেই বীর চিলা রায়ের মূর্তি। ঘোড়ার উপর চেপে রয়েছেন তিনি। তাঁর বীরত্বের কথা এখন মানুষের মুখে মুখে ফেরে। সেই বীর চিলা রায়ের নামে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম করার ব্যাপারে প্রস্তাব দিচ্ছে রাজবংশী চেতনা মঞ্চ।
এনিয়ে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজবংশী ইতিহাসে বীর চিলা রায়ের বিশেষ অবদান রয়েছে। কামতাপুর অর্থাৎ কোচ রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা নর নারায়ণের প্রধান সেনাপতি ছিলেন চিলা রায়। বীর চিলা রায়। যোদ্ধা হিসাবে তাঁর বীরত্ব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃত। ভারতে বিদেশি শক্তির অনেক আক্রমণ হয়েছে। তবে চিলা রায়কে কোনও বিদেশি শক্তি পরাস্ত করতে পারেনি। আর এই অঞ্চলে রাজবংশীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। চিলা রায় রাজবংশী সমাজে বীর সেনাপতি হিসাবে শ্রদ্ধার আসনে রয়েছেন। সেকথা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তাব করছি যদি বাগডোগরার নাম পরিবর্তন হয় তাহলে চিলা রায়ের নামে করা হোক।