ক্যানিংয়ের লজে মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল মৃতের পরিবার। তাদের দাবি, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই মহিলাকে লজে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক তৃণমূলকর্মী। সেখানেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে মহিলাকে। এই ঘটনায় মহসিন মোল্লা নামে এক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষীর ফাঁসি দাবি করেছেন মৃতের পরিজনরা।
শুক্রবার ক্যানিং বাজারের দোবদাস লজে এক মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পাশে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন তিনি। এরই মধ্যে এলাকা থেকে গায়েব হয়ে যান ওই মহিলার সঙ্গী। ঘটনার তদন্ত শুরু করে ক্যানিং থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় মহসিন মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তাদের দলের কর্মী বলে মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধান।
জানা গিয়েছে, মহিলার বাড়ি ক্যানিং থানা এলাকার গোবরামারি গ্রামে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে শুক্রবার মহসিন মোল্লার সঙ্গে লজে ঢোকেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের মেয়ের দাবি, আমাদের নাম আবাসের তালিকায় আসেনি। তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার কথা বলে মাকে ক্যানিংয়ে ডেকে পাঠিয়েছিল তৃণমূল কর্মী মহসিন মোল্লা। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে। তার পর মাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে মহসিন। মায়ের বেশ কিছু সোনার গয়না, বাড়ির দলিল ও ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। খুন করে সে সেসব জিনিস নিয়ে পালিয়েছে।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে মহসিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের দাবি, মহিলাকে তিনি ডাকেননি। নিজেই এসেছিলেন তিনি। ওদিকে মহসিনের স্ত্রীর মিনারা মোল্লার দাবি, আমার স্বামীর সঙ্গে ওই মহিলার দীর্ঘদিন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই গিয়েছিলেন। আবাসের ঘর দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তবে স্বামী দোষী হলে শাস্তি হোক।