একেই বলে দাপট! তবে যাঁকে দাপট দেখানো হল তিনি হলেন সবজি বিক্রেতা মহিলা। আর যিনি দাপট দেখালেন তিনি হলেন জয়েন্ট বিডিওর স্ত্রী। খবর এমনটাই। মহিষাদলের জয়েন্ট বিডিওর স্ত্রীর এই দাপটকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে তিনি শুধু ধমক দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি থানায় গিয়ে একেবারে পুলিশ ডেকে নিয়ে এসেছিলেন। এমনকী এরপর পুলিশ এসে ওই সবজি বিক্রেতাকে থানায় ডেকে নিয়ে যান বলে খবর। গোটা বিষয়টি পুলিশ ওই সবজি বিক্রেতার কাছে জানতে চান। এদিকে ঘটনার বিষয়টি প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের কানেও গিয়েছে। তারপর থেকে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন।
কী নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত?
মহিষাদল সিনেমা মোড় এলাকায় বাজার করতে গিয়েছিলেন জয়েন্ট বিডিওর স্ত্রী। সেখানে তিনি ফুলকপির দাম জিজ্ঞাসা করেন। মহিলা বিক্রেতা তাঁকে জানান কপির দাম ৭০ টাকা করে। এরপর বিক্রেতার দাবি অফিসারের স্ত্রী বলেন, ওখানে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আপনি কেন ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন?
এরপর শুরু হয় চোটপাট। এদিকে বিক্রেতা বলেন, ওখানে ৫০ টাকায় বিক্রি হলে ওখান থেকে নিয়ে নেওয়াটাই ভালো। এরপরই ওই জয়েন্ট বিডিওর স্ত্রী বলেছিলেন আপনার ব্যবসা করার যোগ্যতাই নেই। এমনটাই দাবি ওই ব্যবসায়ীর। এরপর তিনি একেবারে পুলিশ ডেকে আনেন। ব্যবসায়ীর দাবি, ওই ভদ্রমহিলা বলেছিলেন আমি জয়েন্ট বিডিওর স্ত্রী। এরপর রীতিমতো তিনি পুলিশ ডেকে আনেন। কাছে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। তার কাছেও তিনি এনিয়ে জানান।
এদিকে ঘটনার বিষয়টি জানার পরে পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এনিয়ে যাতে নতুন করে আর অশান্তি না ছড়ায় সেটা দেখা হচ্ছে।
তবে স্থানীয়দের মতে, বর্তমানে সবজির দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। ভাইফোঁটার পরে এখনও সবজির দাম কমেনি। বাংলার সর্বত্র একই ছবি। সেই পরিস্থিতিতে সবজির দাম চেয়েছিলেন বিক্রেতা। কিন্তু তারপরেও ওই আমলার স্ত্রী যে দাপট দেখিয়েছিলেন তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
সেই সঙ্গেই কোনও সাধারণ মানুষ যদি থানায় গিয়ে এই সবজির বেশি দাম নেওয়ার কথা বলতেন তবে পুলিশ কতটা তৎপর হত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।