আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সোমবার আদালত থেকে সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে মুখ খুলেছিলেন। প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন তিনি নির্দোষ। এদিকে সেই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে বঙ্গ সিপিএম। আর তারপরই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে নেটিজেনরা।
সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে প্রিজন ভ্যানের জানালা থেকে চিৎকার করছে সঞ্জয়। সে বলছে, ‘আমি কিন্তু রেপ আর মার্ডার করিনি। আমায় নীচে নামিয়ে দিল। আমার কথা শুনছে না। পুরো সরকার আমায় ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। এমনকী ডিপার্টমেন্ট আমায় ভয় দেখিয়েছে…আমি পুরোপুরি নির্দোষ। আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’ সঞ্জয়ের এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল সিপিএম। তারপরই বিরাট শোরগোল পড়ে যায় সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
এক নেটিজেন লিখেছেন, আপনাদের বড় আইনজীবী বিকাশকে দাঁড় করানো হোক সঞ্জয়য়ের জন্য় এত যখন চিন্তা আপনাদের। অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, সিপিএম বিজেপির কাছে সিবিআই বিশ্বাসযোগ্য় নয়। বিশ্বাসযোগ্য লোক হল সঞ্জয় রায়। বিকাশ উকিলকে পাঠিয়ে দিন ওকে বাঁচানোর জন্য। সিবিআই কি করছে? সরকার আর কলকাতা পুলিশ ফাঁসালো আর ওরাও ফাঁসাতে দিল। বাজে বকারও একটা শেষ আছে। অপর একজন লিখেছেন ধনঞ্জয়-ও কিন্তু দাবি করেছিলেন যে তিনি নির্দোষ। একাধিক নেটিজেন ধনঞ্জয়ের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। প্রসঙ্গত ধর্ষণকাণ্ডের সাজায় ধনঞ্জয়কেও ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। অপর একজন লিখেছেন, ধনঞ্জয়কে কে ফাঁসিয়েছিল সিপিএম? কারণ ধনঞ্জয় নিজেও বলেছিল আমি গরীব বলে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে আমি কিছু করিনি। অপেক্ষায় রইলাম।
কে এই ধনঞ্জয়?
ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। তখন বাম জমানা। আদতে ছাতনার কুলুডিহি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক কর্মসূত্রে থাকতেন কলকাতায়। ভবানীপুরের একটি আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন তিনি। ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ সেই আবাসনেই এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
সেই ঘটনায় ধনঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ আইনি লড়াই চলার পর তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। ২০০৪ সালের ১৪ অগস্ট আদালতের সেই রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয়ের। এনিয়ে এখনও নানা বিতর্ক রয়েছে।
ফের নেটিজেনরা সেই ধনঞ্জয়ের প্রসঙ্গ তুলে আনছেন। আর সেই প্রসঙ্গ তুলে এনে সিপিএমকে তীব্র খোঁচা সোশ্য়াল মিডিয়ায়।