নভেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। তাপমাত্রাও নামতে শুরু করেছে। শীতের আগমনী বার্তা বোঝা যাচ্ছে। ভোরবেলা এবং রাতের বেলায় পারদ নামছে। শীঘ্রই শীত আসবে। এই আবহে বাংলার ভ্রমণপিপাসু মানুষ যেমন অন্যান্য জায়গায় ঘুরতে যাবেন তেমনই একটা বড় অংশের মানুষ মেতে উঠবেন পিকনিকে। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে ইকো পার্কে গড়ে উঠেছে ‘সোলার ডোম’ বা ‘সৌর গম্বুজ’। যা চারিদিকে জলের ধারা বইছে। ঠিক তার মাঝখানে রয়েছে বিশাল আকৃতির গম্বুজ। এই গম্বুজটিই সোলার প্যানেলে মোড়া রয়েছে। ইকো পার্কের ভিতরে সেটি গড়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষ এটার নামকরণ করেছে ‘সোলার ডোম’। যা পার্কে ঘুরতে আসা মানুষজনের কাছে বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করতে চলেছে।
শীতের মরশুমে পিকনিক করতে এসে এই ‘সোলার ডোম’ মানুষজন দেখতে পাবেন। তা নিয়ে চর্চাও হবে। আসলে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে এখন সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করার প্রতি সচেতন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। সেখানে এই ‘সোলার ডোম’ একদিকে যেমন দেখতে আকর্ষণীয় অপরদিকে তেমন সচেতন করার কাজও হবে। ইকোপার্কে শীতের সময় বহু মানুষজন পিকনিক করতে ভিড় করেন। সেখানে এই ‘সোলার ডোম’ বাড়তি সংযোজন। প্রকৃতি তীর্থের অন্দরে ‘ধামসা’ ট্রাইবাল রেস্তোঁরা আছে। তার পাশেই ৮ তলা বাড়ির সমান ‘সোলার ডোম’ বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে। এবার সোলার ডোমটি খুলে দিচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ হিডকো।
আরও পড়ুন: ‘উপনির্বাচনের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই আমি যাব’, অলআউট লড়াইয়ের ডাক শুভঙ্করের
হিডকো সূত্রে খবর, আসন্ন শীতের মরশুমে ইকো পার্কে আগত মানুষদের আরও আকর্ষণ বাড়াবে এই ‘সোলার ডোম’ বা সৌর গম্বুজ। আজ, মঙ্গলবার বিকেলে এই ‘সোলার ডোম’ খুলে দেওয়া হবে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরেই সোলার ডোমের প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হবে। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা, হিডকো এবং নগরোন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের একটি খ্যাতনামা সংস্থার পরামর্শে গড়ে উঠেছে ‘সোলার ডোম’ বা সৌর গম্বুজ। এখন থেকে এটাই হয়ে উঠবে ‘ল্যান্ডমার্ক’। এখানেই দেখা যাবে, কেমন করে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে জীবনযাত্রা চলে।
হিডকো সূত্রে খবর, বিশ্ব উষ্ণায়নে গোটা পৃথিবী নাজেহাল। হিমালয়ের বরফ গলতে শুরু করেছে। সেখানে বিকল্প শক্তি ব্যবহার করে পড়ুয়া থেকে দর্শনার্থীদের পাঠ দিতে ২০১৯ সাল থেকে ‘সোলার ডোম’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটা গড়ে তুলতে ৬ বছর ধরে কাজ চলেছে। এখানে প্রায় দু’হাজার সোলার প্যানেল আছে। এখান থেকে রোজ ১৮০ কিলোওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। আর তা ব্যবহারে সোলার ডোমের ভিতরের আলো, পাখা, কম্পিউটার, লিফট–সহ পার্কের আলোও জ্বলবে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে গেলে এই বিকল্প শক্তির ব্যবহার প্রয়োজন। এই ‘সোলার ডোম’–এর ভিতরে থাকছে গ্যালারি, স্ক্রিন প্রজেক্টর, সেমিনার হল, প্ল্যানেটরিয়াম, মেরিন একোয়ারিয়াম, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পয়েন্ট–সহ অনেক কিছু।