বিডিয়ো থেকে কলেজের অধ্য়াপক,গ্রামেক কৃষক থেকে আইটি কর্মচারী সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ছেন অনেকেই। তবে কীভাবে এদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন, কীভাবে প্রতিদিনের জীবনে সতর্ক হয়ে পা ফেলবেন সেটাই এবার জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ডিসিপি( সাইবার ক্রাইম) একটি পোস্ট করেছে এক্স হ্যান্ডেলে। কলকাতা পুলিশের হ্যান্ডেলে সেটা রিপোস্ট করা হয়েছে।
সেখানে নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে কী করবেন কী করবেন না।
লেখা হয়েছে আফসোস করার থেকে ভালো সচেতন থাকা। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু টিপস থাকল।
কোনটা করণীয়-
অক্ষর ও সংখ্য়ার সমণ্বয়ে তৈরি( A@#*2) কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
টু ফ্য়াক্টর অথেনটিকেশন দ্বারা প্রোফাইল সুরক্ষিত রাখুন।
আপনার প্রোফাইলগুলির ফ্রেন্ডলিস্ট বা ফলোয়ার্সে কারা অ্যাড আছে খেয়াল রাখুন।
আপনার ব্যবহৃত ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনগুলি সদা আপডেটেড রাখুন।
প্রাইভেসি সেটিংস চেঞ্জ করে নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখুন।
প্রতিটি সোশ্য়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের জন্য় আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
কোনগুলি করণীয় নয়-
আবেগের বশে অতিরিক্ত শেয়ার বন্ধ করুন।
ব্যক্তিগত ফোন নম্বর বা জন্মতারিখ পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করবেন না।
সন্দেহজনক কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।
নিরাপত্তাহীন ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না।
অপরিচিত কোনও ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত তথ্য় শেয়ার করবেন না।
অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে আসা বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করবেন না।
এরপরেও যদি সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত কোনও ঘটনা হয় তবে কী করবেন?
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সাইবার অপরাধের অভিযোগের জন্য, https://cybercrime.gov.in এ রিপোর্ট করুন। জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
তবে পাসওয়ার্ড কেমন রাখবেন তা নিয়ে নির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে জন্মতারিখ দিয়ে অনেকের পাসওয়ার্ড করেন বলেই মনে করা হয়। এবার তাঁদের সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ। এক্ষেত্রে কিছুটা কঠিন পাসওয়ার্ড করার ব্যাপারে বলা হয়েছে।
এদিকে সাইবার অপরাধের তদন্তে নেমে একাধিকবার সাফল্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। গতবছর অগস্ট মাসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি মোবাইলে হেল্পলাইন খুঁজছিলেন। কারণ তাঁর ক্রেডিট কার্ডে বাড়তি চার্জ নেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি একটি নম্বর পান বলে সূত্রের খবর। সেই নম্বরের সূত্র ধরে তিনি ফোন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সেই হেল্পলাইন নম্বরের আড়ালে আসলে ছিল একটি ভুয়ো নম্বর। সেই নম্বরটি আসলে প্রতারকদের নম্বর। আর সেখানে ফোন করতেই তিনি জালে জড়িয়ে পড়েন। ওই প্রতারকরা তাঁর কাছে একটি লিঙ্ক পাঠায়। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ টাকা উড়ে যায়।
এরপর তিনি সাইবার থানায় অভিযোগ জানান। সাইবার থানার আধিকারিক প্রিয়াঙ্ক মণ্ডল তদন্তে নামেন। এরপরই ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পারে কলকাতা পুলিশ। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছিল পুলিশ।