তৃণমূলের ২ কাউন্সিলরের কোন্দলে কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির হালতুতে ভাঙচুর হল কালীপুজোর মণ্ডপ। অভিযোগ, তৃণমূলের মারে চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীরই। এই ঘটনায় জাহাঙ্গির মল্লিক ও অভিজিৎ মণ্ডল নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। ধৃতরা কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামী বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে, হালতু নবীন সংঘের কালীপুজোর মণ্ডপ ভাঙচুর করছিলেন লিপিকা মান্নার অনুগামী কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। তখন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামী সমীরণ সাহা তাঁদের বাধা দেন। এর জেরে আক্রোশ গিয়ে পড়ে সমীরণবাবুর ওপর। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। মারধরের চোটে সমীরণবাবুর ২টি চোখেই প্রবল রক্তক্ষরণ হয়েছে। চোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছিলেন সুশান্তবাবু। তার জেরেই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় লিপিকাদেবীকে জড়াতে রাজি নন সুশান্তবাবু। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে কাউন্সিলর জড়িত বলে আমার মনে হয় না। কোনও ক্লাব কাউকে ডাকতেই পারে। সেজন্য ভাঙচুর করতে হবে এটা কেমন কথা? কাজটা মোটেও ভালো হয়নি।’
এই ঘটনায় রবিবার রাতে জাহাঙ্গির মল্লিক ও অভিজিৎ চৌধুরী নামে ২ তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইবে পুলিশ।