১৫ বছরের পুরনো বাস নিয়ে রীতিমতো বিড়াম্বনায় পড়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে এক ধাক্কায় সেই বাস কমে গেলেও সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। কারণ যে অনুপাতে বাস কমতে পারে সেই অনুপাতে নতুন বাস আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এদিকে গোটা বিষয়টি গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৫ বছরের পুরনো বাস রাস্তায় চলবে কি না সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
কার্যত এবার বল রাজ্য সরকারের কোর্টে। কার্যত এবার রাজ্য সরকারকেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেক্ষেত্রে এবার রাজ্য সরকার এনিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, মামলাকারীর আবেদন মেনে রাস্তায় ১৫ বছরের জায়গায় ১৭ বছরের পুরনো বাসও চালানো যাবে কি না তা বিবেচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এমনকী তার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্য়ে এই বিষয়টি নিয়ে তাঁকে( মুখ্য়সচিবকে) বিবেচনা করতে হবে।
এদিকে ১৫ বছরের পুরনো বাস যাতে চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয় তার আবেদন জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন বাস মালিকদের একাংশ। ২৪ নম্বর রুটের প্রায় ৩৯টি বাসের মালিক আদালতে গিয়েছিলেন। কারণ রাজ্য পরিবহণ দফতরের নির্দেশে আগেই বলা হয়েছে, ১৫ বছরের বেশি বয়স হলেই বাস বাতিল করতে হবে। এরপর সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যান বাস মালিকদের একাংশ।
তবে বাস মালিকদের একাংশের দাবি ১৫ বছরের পুরনো একাধিক বাস এখনও যথেষ্ট ভালো রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই বাসগুলি রাস্তায় থেকে তুলে নিলে সমস্যা হতে পারে। সেকারণে সেই বাসগুলিকে চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য় আদালতে আবেদন করা হয়।
এদিকে ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল করে দেওয়া হলে আগামী মার্চ মাস থেকে সমস্যা ক্রমশ বাড়তে পারে। রাস্তায় বাসের সংখ্যা ক্রমেই কমে যেতে পারে। তার জেরে সমস্যা বাড়বে। সেই সঙ্গেই বাস মালিকদের একাংশের দাবি যদি পুরনো বাস বলে ১৫ বছর বয়সি সব বাসকে বাতিল করে দেওয়া হল তাহলে সমস্য়া বেড়ে যাবে। তাছাড়া ১৫ বছর বয়স হয়ে গেলেও একাধিক বাস এখনও রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে উপযোগী রয়েছে। সেগুলিকে এখনই সরিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না। আবেদন জানিয়েছেন বাস মালিকদের একাংশ।