সরকারের দাবি ১ নভেম্বর থেকে কলকাতার সমস্ত হাসপাতালে চালু হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড রেফারাল সিস্টেম। মানে কোন হাসপাতালে কোন ডিপার্টমেন্টে কত বেড খালি রয়েছে তা অনলাইনে দেখতে পাবেন সবাই। তার পরও হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে চিঠি লিখিয়ে এনেও বাঁচানো গেল না রোগীকে। মঙ্গলবার SSKM হাসপাতালের এই ঘটনায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল ব্যক্তি নয়, ভরসা রাখা উচিত ব্যবস্থাতেই।
এর পর একে একে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে। সেখান থেকেও মেলে একই উত্তর। এই করতে করতে সোমবার গোটা দিনটা কেটে যায়।
মঙ্গলবার সকালে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছে যান সুশীলবাবুর পরিজনরা। সেখান থেকে SSKM হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি নেওয়ার জন্য সুপারিশপত্র লিখে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে। সেই সুপারিশপত্র নিয়ে SSKM হাসপাতালে পৌঁছতে পৌঁছতে ক্রমশ অবস্থার অবনতি হতে থাকে সুশীলবাবু। SSKM হাসপাতালে পৌঁছে একেবারে নিশ্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এমারজেন্সি থেকে আউটডোরের পথে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর আত্মীয়দের আক্ষেপ, সোমবারই ভর্তি নিলে অকালে চলে যেতে হত না সুশীলবাবুকে।