আজ, রবিবার ভাইফোঁটা পড়েছে। এই দিনে ভাইয়ের কপালে দিদি–বোন ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল কামনা করেন। এই দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে ভালই ভিড় হয়। প্রত্যেকবার ভিড় করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা। প্রত্যেক বছর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ডাক পান ওই ভাইফোঁটায়। তাঁদের ফোঁটা দেন খোদ দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে আসেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান, অরূপ বিশ্বাস, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখীও।
কিন্তু এই ভাইফোঁটার দিনই আত্ম উপলব্ধি থেকে নিজের জীবনের অঘটনের কথা তুলে ধরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনিই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেন্দু অধিকারীর উপর ভরসা করে তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। যদিও ফলাফলের পর ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তারপর থেকে ভিন রাজ্যের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে চলেছেন। আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দিদি প্রত্যেক বছর ভাইদের ডেকে ভাইফোঁটা দেন। দিদির এই যে ভাইফোঁটা সেটার কোনও তুলনা নেই। প্রত্যেক বছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি যে কখন দিদির কাছে যাব। দিদির হাত থেকে ফোঁটা নেব।’
আরও পড়ুন: ‘রাস্তার পাশে মদ্যপান করলে ৫০০১ টাকা জরিমানা’, পাঁশকুড়ার রাস্তায় পড়ল পোস্টার
কিন্তু আপনিই তো একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিদিকে ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেটা কেন? এই প্রশ্ন আজ ওঠে। সেই বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে ত্রিপুরার আগরতলায় দায়িত্ব দিয়ে তাঁর হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজীবের বক্তব্য, ‘প্রত্যেকের জীবনে কখনও না কখনও কোনও অঘটন ঘটে। সেরকম আমার জীবনে কয়েকটা মাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাঁর জন্য সত্যিই আমি অনুতপ্ত। আমি ক্ষমাও চেয়েছি। ওটা আমার ভুল ছিল। আর মানুষ যদি ভুলটাকে উপলব্ধি করে সঠিক পথে চলে সেটাই আসল মানুষের পরিচয়।’
বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এসে সম্প্রতি এক কোটি সদস্য সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। সেই বিজেপিতে যাওয়া অঘটন, দুর্ঘটনা বলে উপলব্ধি করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর কথায়, ‘আমি সক্রিয় আছি। এখন মেদিনীপুরের উপনির্বাচনের দায়িত্বে আছি। দল যখন যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা পালন করেছি। আগামী দিনেও তা করব। দিদির সঙ্গেই আমি থাকব। দিদি যা বলবেন তাই করব।’