করোনার জেরে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনলাইন ক্লাসই এখন মূল ভরসা। অথচ এই ক্লাস করানোর জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের। অ্যানুয়াল স্টেটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট (ASER) ২০২০ (রুরাল) ওয়েভ ১ এর ফোন নির্ভর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার জন্য গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, গ্রামীণ এলাকার ৫০% শিক্ষককে কোনও রকম ট্রেনিং দেওয়া হয়নি। খুব সামান্য নির্দেশ দিয়ে ৬৮.৮% শিক্ষককে ভাসা ভাসা একটি ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
৬৮.৮% শিক্ষকদের মধ্যে ৩২.২% শিক্ষককে তুলনামূলকভাবে বিস্তারিত অনলাইন বা সামনে থেকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। ৭.৫% অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করেন এবং ৪.৪% প্রাথমিকভাবে কিছুটা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫০.৬% শিক্ষক যাঁরা তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ান তারা সবচেয়ে প্রশিক্ষিত। এদের কাছে ৫০% পড়ুয়ার ফোন নম্বর রয়েছে।
আরো দেখা গেছে, বহু শিক্ষার্থী বেসরকারি স্কুল ছেড়ে সরকারি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। ২০১৪ সালের ASER ও ২০২০ সালের ASER তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে , সরকারি স্কুলে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা ৬২.৮% থেকে বেড়ে ৬৬.৪% হয়েছে। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৭০% থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৩%।
১১৮,৮৩৮টি পরিবারের ওপর সমীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে, পাঁচ থেকে ১৬ বছরের পড়ুয়াদের মা বাবা শিক্ষকদের যখনই ফোন করেছেন তখন ৮৯৬৩জন শিক্ষক সাড়া দিয়েছেন।