খারাপ খেলে ছিটকে যেতে হলে তবুও বা মেনে নেওয়া যায়। তবে ভালো খেলা সত্ত্বেও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলে বিষয়টা হজম করা মুশকিল। চলতি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের বিষয়ে অন্যতম ফেভারিট ছিল ইংল্যান্ড। তারা টুর্নামেন্ট শুরু করে অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে। তবে এক ম্যাচের হারেই ছবিটা বদলে যায় পুরোপুরি। নেট রান-রেটের নিরিখে পিছিয়ে পড়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিতে হয় ইংল্যান্ডকে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২১ রানের জয় দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে ইংল্যান্ড। তারা বি-গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে পরাজিত করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। লিগের তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে ব্রিটিশরা। লিগের শেষ ম্যাচের আগে পর্যন্ত ইংল্যান্ড ছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। তবে শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬ উইকেটের হারেই ছবিটা বদলে যায় এক ঝটকায়।
বি-গ্রুপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতোই ৩টি ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। তবে নেট রান-রেটে পিছিয়ে পড়ায় লিগ টেবিলের তিন নম্বরে পিছলে যায় তারা। গ্রুপের ২টি দল সেমিফাইনালে যাবে। তাই তিন নম্বরে থেকে ছিটকে যেতে হয় ইংল্যান্ডকে।
অন্যতম ফেভারিট হওয়া সত্ত্বেও নেট রান-রেটের নিরিখে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েন ব্রিটিশ ক্রিকেটাররা। ক্যাপ্টেন নাইট সতীর্থদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন বটে, তবে তিনি নিজদেই কেঁদে ভাসান। একদিকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের চোখের জলে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে ডু-অর-ডাই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠে উচ্ছ্বাসে মাতেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ফলাফল
মঙ্গলবার দুবাইয়ে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন ন্যাট সিভার ব্রান্ট। তিনি ৫০ বলে ৫৭ রান করে নট-আউট থাকেন। মারেন ৫টি চার। ১৩ বলে ২১ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন ক্যাপ্টেন নাইট। তিনি ৩টি চার মারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন অ্যাফি ফ্লেচার। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ক্যাপ্টেন হেইলি ম্যাথিউজ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। হেইলি ম্যাথিউজ ৩৮ বলে ৫০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩৮ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন কিয়ানা জোসেফ। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।