সৎ মেয়ে এশা বর্মাকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং সাক্ষাৎকাকারের মাধ্যমে এশা একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ করেছেন রূপালিকে। এমনকী, তাঁর বাবা অশ্বিনী কুমার বর্মার সঙ্গে রূপালি পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন বলেও দাবি তোলেন তিনি।
রূপালির আইনজীবী সানা রইস খান জানিয়েছেন, ‘আমরা তাঁর সৎ মেয়েকে তাঁর নামে মিথ্যা ও ক্ষতিকারক বক্তব্যের জন্য মানহানির নোটিশ জারি করেছি। কারণ রূপালি একদম পছন্দ করে না কেউ শুধুমাত্র বিখ্যাত হওয়ার জন্য অন্যের নামে মানহানিকর মন্তব্য করবে। ই ভিত্তিহীন অভিযোগগুলি স্পষ্টতই রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের খ্যাতি নষ্ট করেছে এবং জনগণের মাধ্যে তাঁর অবস্থানকে পুঁজি করার চেষ্টা করেছিল। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মানসিক যন্ত্রণাই দেয়নি, অন্যায়ভাবে তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সততাকে কলঙ্কিত করেছে।’
আরও পড়ুন: হেরাফেরি ৩ আসছে? বাবু ভাইয়া চিৎকার উঠতেই পরেশের সঙ্গে যা করলেন সুনীল-অক্ষয়
বিতর্কে জড়িয়েছেন রূপালি
এই ব্যক্তিগত আলোচনা শুরু হয়েছিল, যখন একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার এশার করা একটি পুরানো ফেসবুক মন্তব্যের স্নিপেট শেয়ার করে এবং রেডিটে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়। যেখানে এই মেয়েটি দাবি করে, তাঁর মায়ের সঙ্গে বিবাহিত থাকাকালীন তাঁর বাবা অশ্বিনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়। পোস্টটি দ্রুত অনলাইনে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। যার ফলে অশ্বিন এক্স-এ একটি বিবৃতি জারি করে, এই দাবি অস্বীকার করেন। বাবার পোস্টের পালটা এশা বর্মা মুখ খুলতে শুরু করেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
এইচটি সিটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এষা দাবি করেন, ‘রূপালি আমার মাকে হুমকি দিয়েছিল। আমি যদি বাবার সঙ্গে ফোনেও কথা বলতাম, তবে সে পিছনে চিৎকার করত। এমনকী, আমি যখন মুম্বাইয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম তখন তিনি আমাকে কোণঠাসা করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, 'তুমি যদি আবার কখনও এমন করো বা বাবার সঙ্গে দেখা করতে চাও, তাহলে তোমার কপালে দুঃখ আছে। আমি সবসময় ভারতে যেতে ভয় পেতাম, এবং তাঁর সঙ্গে দু দিনের বেশি থাকতেও পারতাম না।’
অভিনেত্রী হতে চাওয়া এশাকে সাহায্য করেছিলেন রূপালি, দাবি নোটিশে
রূপালির পাঠানো মানহানির নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের মক্কেল দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছেন যে, আপনি প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে যে অপমানজনক শব্দ ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা অত্যন্ত অবমাননাকর। এই পদক্ষেপগুলি তাঁর খ্যাতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে, তার মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে এবং তার কেরিয়ারে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে তাঁর যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।’
নোটিশে বলা হয়েছে, রূপালি এই অভিযোগ শুনে 'হতবাক ও গভীরভাবে বিচলিত' হয়েছিলেন। কারণ তিনি এশাকে তাঁর অভিনত্রী হতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করেছিলেন।
‘আমাদের মক্কেল আপনার কাছ থেকে এমন দূষিত আক্রমণ প্রত্যাশা করেননি, কারণ তিনি ভারত সফরের সময় সর্বদা আপনার সঙ্গে ভাল আচরণ করেছিলেন। আমাদের ক্লায়েন্ট আপনাকে তাঁর এবং তাঁর স্বামী (এশার বাবা)-র সহায়তায় ভারতীয় বিনোদন শিল্পে প্রবেশের সুযোগ করে দেন। আপনাকে অসংখ্য ফটোশুট এবং অডিশন দেওয়াতে সাহায্য করা হয়েছিল’, লেখা রয়েছে রূপালির পাঠানো মানহানির নোটিশে।