বিয়ের মতোই বিবাহ বিচ্ছেদ এখন ভীষণ স্বাভাবিক একটি ঘটনা হয়ে গেছে। তারকা দম্পতি হোক বা সাধারণ মানুষ, মনোমালিন্য হলেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন অনেকেই। তবে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ছোট সন্তান থাকলে তাদের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। অনেকে আবার খুব সাবলীলভাবে গোটা ব্যাপারটিকে হ্যান্ডেল করে নেন, ঠিক যেমন করেছেন সীমা সাজদেহ এবং সোহেল খান।
সম্প্রতি দুই সন্তানের লালন পালন নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল খানের প্রাক্তন স্ত্রী সীমা। সীমা বলেন, ‘আমাদের দুই সন্তান নির্বাণ এবং ইয়োহান দুজনেই বাবা-মায়ের ভালোবাসা পায়। আমরা প্রথম থেকেই ঠিক করেছিলাম, ডিভোর্স হয়ে গেলেও আমরা ওদের ওপর কোনও প্রভাব পড়তে দেব না। ওরা যেন সঠিক মূল্যবোধে বড় হতে পারে, সেই চেষ্টাই করি আমরা।’
(আরও পড়ুন: শাহরুখের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা সালারের প্রযোজকের! কেন বললেন, 'ব্যাপারটা একদম কারও জন্যই ভালো নয়...')
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি কেউ প্রশ্ন করে, আমাদের সন্তানরা আগে নাকি আমরা? তাহলে অবশ্যই উত্তর আসবে, আমাদের সন্তানরাই অগ্রাধিকার পাবে। আমাদের ব্যক্তিগত মতামত দ্বিতীয় অগ্রাধিকার পাবে। আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছি যাতে আমাদের সন্তানের ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব না পরে।’
(আরও পড়ুন: বারংবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ডিপ্রেশনের শিকার হন নোরা! বললেন, 'থেরাপির সাহায্য নিয়ে...')
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে সীমা এবং সোহেল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০২২ সালে ডিভোর্সের পথে হাঁটেন তাঁরা। সীমা এবং সোহেলের সম্পর্ক যে ঠিক নেই তা প্রথম বোঝা যায় ‘বলিউড ওয়াইফস ফেবুলাস লাইফ’ নামক সিনেমার হাত ধরে। এই সিনেমায় প্রথম নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছিলেন সীমা। সীমার কথা শুনেই প্রথম বোঝা গিয়েছিল যে তিনি এবং সোহেল বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন।