আবার একটা নতুন বছরের সূচনায় আমরা নতুনভাবে পথচলার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলাম। সব খারাপ মুছে গিয়ে ভালো থাকার অভিপ্রায় নিয়ে এগিয়ে চলা। তবে ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি কিন্তু শরীর। আর শরীর ভালো রাখতে প্রয়োজনীয় সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর শরীরচর্চা। নতুন বছরে অনেকেই নানা ধরনের অঙ্গীকার বা রেজোলিউশন নিয়ে থাকেন। ডায়েটের ক্ষেত্রেও তেমনই কিছু রেজোলিউশন মেনে চললে বছরটা কাটবে আরও সুন্দর। সম্প্রতি HT বাংলায় তেমনই কিছু ডায়েট রেজোলিউশনের কথা জানালেন অ্যাপোলো ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান জয়িতা ব্রহ্ম।
১. জলই জীবন - জল শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স মেন্টেন করে। অর্থাৎ শরীরে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখে। তাই জলে ঘাটতি হলে চলবে না। সারাদিন ৮-৯ গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন জয়িতা।
আরও পড়ুন - হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৫-র শুভেচ্ছা জানান প্রিয়জনকে, পাঠান সেরা শুভেচ্ছাবার্তা
২. স্বাস্থ্যকর ও ব্যালান্সড ডায়েট - ক্রিসমাস, বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের রাতে বাইরের খাওয়াদাওয়া বেলাগাম হয়েছে অনেকেরই। এবার মন দিতে হবে স্বাস্থ্যকর ব্যালান্সড ডায়েটের দিকে। ব্যালান্সড ডায়েট বলতে বোঝানো হয় যে ডায়েটে কার্ব, প্রোটিন, ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকে। কোনওটা খুব বেশি বা কোনওটা খুব কম নয়। এই ধরনের ডায়েট শরীরে সঠিক পুষ্টির জোগান দেয়।
৩. সারা দিনে অন্তত দুবার ফল - সারাদিনে অন্তত দুবার ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জয়িতা। ফলে থাকা ফাইবার একদিকে যেমন বাওয়েল মুভমেন্ট ভালো রাখে, তেমনই অন্যদিকে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যালান্সড ডায়েটের অঙ্গ হোক ফল।
৪. রিফাইনড খাবার এড়িয়ে চলুন - প্রসেসড খাবার যেমন চিপস, বার্গার, কেক ইত্যাদি এড়িয়ে চলা নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক। এই ধরনের খাবারে মূলত দুই ধরনের বিপদ থাকে। এক এগুলি হাই ফ্যাট খাবার অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট শরীরে জমা হতে থাকে। অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জেরে হার্টের রোগ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি দেখা দিতে থাকে। অন্যদিকে হাই কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার। যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। লিভার ও কিডনির ক্ষতি করে। পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ।
আরও পড়ুন - বর্ষশেষের রাত! পার্টিতে ‘বেসামাল’ হয়েও নিজেকে সামলে রাখার টিপস দিলেন চিকিৎসক
৫. চোখের খিদে এড়িয়ে চলুন - চোখের খিদেই আসল সর্বনাশ করে বলে জানাচ্ছেন ডায়েটিশিয়ান জয়িতা। তাঁর কথায়, শরীর বুঝে খাওয়াদাওয়া করুন। দেখে ইচ্ছে হলেই খাবারের প্রতি দুর্বল হবেন না। তাহলে সে খাবার আপনাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
৬. কিটো বা ফ্যাড ডায়েট নয় - নিজে থেকে কোনওরকম বিশেষ ডায়েট বেছে না-নেওয়াই ভালো বলে জানালেন জয়িতা। বর্তমানে অনেকেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং থেকে নানারকম ডায়েট ফলো করছেন। পরে প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ছেন বা রোগে ভুগছেন। একান্ত কোনও বিশেষ ডায়েট ফলো করতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই চলা ভালো।
৭. পাশাপাশি চাই শরীরচর্চা - খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চাও বিশেষভাবে জরুরি। তাই দিনে অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট ব্য়ায়াম জরুরি। এমনকী বসে থাকতে থাকতেও শরীর নাড়াচাড়া করা জরুরি।