আসন্ন বিধানসভা ভোটের আবহে 'বিদ্রোহী কাঁটা'য় জেরবার মহারাষ্ট্রের যুযুধান দুই প্রধান প্রতিপক্ষ। ক্ষমতাসীন মহাযুতি জোট হোক, কিংবার বিরোধী মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) - দুই পক্ষকেই চিন্তায় রেখেছে বিক্ষুব্ধদের অবস্থান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই (২৯ অক্টোবর, ২০২৪) ছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ হল আগামী ৪ নভেম্বর।
এদিকে, তথ্য বলছে - ইতিমধ্যেই অন্তত ৮০ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে চিহ্নিত করেছে ক্ষমতাসীন মহাযুতি জোট। অন্য একটি হিসাবে অনুসারে, সারা রাজ্য়ে অন্তত ১৫০ জন এমন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছেন, যাঁরা ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন কেবলমাত্র তাঁদের নিজেদের দলেরই প্রার্থীকে পরাজিত করার লক্ষ্যে!
এই প্রেক্ষাপট রক্তচাপ বাড়িয়েছে মহাযুতি ও এমভিএ - দুই পক্ষেরই শীর্ষ নেতৃত্বের। তারা এখন চাইছে, যেভাবে হোক বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে রাজি করাতে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মোট আসন রয়েছে ২৮৮টি। মহাযুতি জোট এবং এমভিএ - দুই পক্ষই দাবি করেছে তারা সবক'টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে।
কিন্তু, মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে - বিরোধী এভিএ-র তরফে মনোনয়ন জমা পড়েছে ২৮৬টি । অন্যদিকে, মহাযুতির তরফে ঘোষিত প্রার্থীরা মনোয়ন জমা দিয়েছেন ২৮৪টি আসনে।
আর এসবের মধ্যেই সামনে এসেছে এমন কিছু হাই-প্রোফাইল প্রার্থীর নাম, যাঁদের বিদ্রোহী অবস্থান এমভিএ আর মহাযুতি - দুই পক্ষেরই সমস্ত হিসাব ঘেঁটে দিয়েছে!
এই বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্যতম হলেন, বিজেপির গোপাল শেট্টি। তিনি প্রার্থী হয়েছেন বোরিবলি থেকে। তাঁর লড়াই মূলত সঞ্জয় উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, নন্দগাঁও আসনে শিব সেনার বর্তমান বিধায়ক সুহাস কাণ্ডেকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন এনসিপি বিধায়ক তথা মন্ত্রী ছগন ভুজবলের ভাইপো সমীর ভুজবল। তিনি ওই একই আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বিদ্রোহ যে এবারের মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আসন ভাগাভাগিতে বড় অন্তরায়, তা প্রথম থেকেই স্পষ্ট ছিল। যে কারণে একদিকে মহাযুতি জোট মনোনয়ন পেশের শেষ তারিখ পর্যন্ত তাদের সম্পূর্ণ প্রার্থীতালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রেখেছে।
অন্যদিকে, এমভিএ-কে বারবার আলোচনায় বসতে হয়েছে। বারবার বদলেছে তাদের আসন সমঝোতার অঙ্ক। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এত কিছুর পরও বিদ্রোহীদের সম্পূর্ণ বাগে আনতে ব্যর্থ হয়েছে দু'পক্ষই। মনোনয়নের পেশের তালিকাই তার প্রমাণ।