খেলতে গিয়ে গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল বছর পাঁচেকের এক শিশু। তিনদিন ধরে অভিযান চালিয়েও তাকে উদ্ধার করা যাননি। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল শিশুর। বুধবার রাতে শিশুটিকে অজ্ঞান অবস্থায় কুয়ো থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের দৌসায়। ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল আরিয়ান নামের ওই শিশু। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে বাড়িতে ঢুকে দু’মিনিটেই ৬ মাসের শিশুর চোখ খুবলে খেল কুকুর, হল মৃত্যু
গত ৯ ডিসেম্বর খেলার সময় শিশুটি ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায়। তাকে উদ্ধারের জন্য দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। দৌসার চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানান, শিশুকে বাঁচানোর জন্য একাধিক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, সবই ব্যর্থ হয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যাতে তাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা যায়। শিশুর দুবার ইসিজি করা হয়েছে। তারপর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বুধবার, জেলাশাসক দেবেন্দ্র কুমারের জানিয়েছিলেন, প্রথম মেশিন ভেঙে যাওয়ার পরে উদ্ধারকারী দল উদ্ধারের জন্য দ্বিতীয় মেশিন নিয়ে এসেছিল।
আরিয়ান কীভাবে কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল?পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীখাদ গ্রামে বাড়ির কাছে খেলার সময় আরিয়ান দুর্ঘটনাক্রমে কুয়োয় পড়ে যায়। ঘটনার সময় তার মা আশেপাশে ছিলেন। তিনি ছেলেকে পড়ে যেতে দেখেই উদ্ধারের জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এরপরেই উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছয়। প্রায় ৫৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উদ্ধারকাজ চলে। শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, শিশুটি পড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
শিশুর কাছে পৌঁছানোর জন্য ড্রিলিং মেশিন ব্যবহার করে একটি সমান্তরাল গর্ত খনন করা হয়েছিল। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীরা জানান, গর্ত খনন করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। যার মধ্যে জলস্তর প্রায় ১৬০ ফুট গভীরে ছিল বলে অনুমান করা হয়েছে। উদ্ধার চলাকালীন যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তার মধ্যে আরও ছিল ক্যামেরায় ছেলেটির গতিবিধির ওপর নজর রাখা। তবে ভূগর্ভস্থ বাষ্পের কারণে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও, উদ্ধারকারী কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগও ছিল। এতো চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তবে শেষমেষ শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হল না। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।