রাতারাতি পড়ল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিশাল পোস্টার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই সেই পোস্টার ফেলল পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার গভীর রাতে কর্ণাটকের বেলাগাভির একটি এলাকায় ঔরঙ্গজেবের বিশাল পোস্টার চোখে পড়ে। এই ঘটনায় পোস্টার লাগানোর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য এই ধরনের পোস্টার লাগানো হয়েছে। ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় যুবকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোনও ভারতীয় মুসলিমই ঔরঙ্গজেবের বংশধর নয়, মন্তব্য ফড়ণবীসের
পুলিশ জানায়, শনিবার গভীর রাতে শহরের বক্সাইট রোডের শাহু নগর সার্কেলে ঔরঙ্গজেবের একটি বড় পোস্টার লাগিয়েছিল কয়েকজন যুবক। ঔরঙ্গজেবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লাগানো পোস্টারে লেখা ছিল, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে ‘সুলতান-ই-হিন্দ’ বলা হয়েছিল। পোস্টারে ঔরঙ্গজেবকে অখণ্ড ভারতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। পরের দিন পোস্টার সকলের নজরে আসতেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিছু ব্যক্তি এই পোস্টার নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান। ঘটনায় তারা পুরসভার কাছে অভিযোগ জানান। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করে বেলাগাভি সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশে পুলিশ পোস্টারটি সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ আপত্তিকর পোস্টার লাগানো অজানা যুবকদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
ডিসিপি (আইন-শৃঙ্খলা) রোহন জগদীশ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, বেলাগাভি পুরসভার নির্দেশে পুলিশ পোস্টারটি সরিয়ে দিয়েছে। আপত্তিকর মন্তব্য সহ পোস্টার লাগানোর জন্য পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় যুবকদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এদিনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি কাউন্সিলর শ্রেয়াস নাকাদি। তিনি দাবি করেছেন, উৎসবের সময় পোস্টারটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার একটি প্রচেষ্টা। পুলিশের নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা কীভাবে পোস্টারটি লাগাতে সফল হল? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানান, এই এলাকাটি সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল এলাকা। তাই সেখানে একটি পুলিশ ভ্যান ২৪ ঘণ্টা ধরে থাকে। তাসত্ত্বেও সেখানে পোস্টার লাগানো হল আর পুলিশ টের পেল না। ঘটনায় তিনি পুলিশকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।