কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝির পুত্রবধূ তথা এনডিএ প্রার্থী দীপা মাঝির নির্বাচনী প্রচার গাড়িতে হামলার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে বিহারের গয়া জেলার মাও অধ্যুষিত বাঁকে বাজার থানা এলাকায়।
সূত্রের দাবি, এই হামলায় আহত হয়েছেন ওই গাড়ির চালক। হামলাকারীরা নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীও নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জন্য লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর সমর্থকদেরই দায়ী করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জিতনরাম মাঝি বিহারের হিন্দুস্তানি আবাম মোর্চা (হাম)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর এই দল বর্তমানে বিহারের অন্যতম এনডিএ শরিক।
আগামী ১৩ নভেম্বর বিহারের চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। এর মধ্যে ইমামগঞ্জ আসনটিতে এনডিএ-র প্রার্থী হয়েছেন দীপা মাঝি। আগে এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তাঁর শ্বশুর তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম।
কিন্তু, গত লোকসভা নির্বাচনে গয়া কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে সাংসদ হন জিতনরাম। ফলে ইমামগঞ্জ আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এবার সেই আসনেই লড়বেন জিতনরামের পুত্রবধূ দীপা।
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় চার পরিচিত ব্যক্তি এবং ৮-১০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
হাম-এর তরফ থেকে এই অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন দলের বাঁকে বাজার শাখার ব্লক সভাপতি আজামত খান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, ব্রজেশ কুমার যাদব নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী হাতে স্থানীয় অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালায়। তারা নির্বাচনী গাড়ির পোস্টার ছিঁড়ে দেয়, চালককে মারধর করে এবং জিতনরাম ও তাঁর ছেলের উদ্দেশে বর্ণ বৈষম্যমূলক ও অশালীন মন্তব্য করে।
অভিযোগ, হামলাকারীরা নির্বাচনী প্রচার গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং চালককে গাড়ি নিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করে। তাঁকে বলা হয়, তিনি যদি গাড়ি নিয়ে ফেরত না যান, তাহলে তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে!
হাম-এর জাতীয় মুখপাত্র নন্দলাল মাঝি এই ঘটনার জন্য সরাসরি আরজেডি সমর্থকদেরই দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, আরজেডি-র লোকেরা স্থানীয় দলিত ও মুসাহারদের জমি দখল করে নিচ্ছে।
তারা লাঠির জোরে দীপা মাঝিকে পরাজিত করার ছক কষেছে বলেও অভিযোগ করেন নন্দলাল।
ঘটনার পর গয়ার এসএসপি আশিস ভারতী জানিয়েছেন, হামলার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এক অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।