বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম থেকে এবার ‘হেফাজত -এ-ইসলাম’ সংগঠনের তরফে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে 'ইসকন'কে নিষিদ্ধ করার ডাক দেওয়া হয়। শুক্রবার নমাজের পর চট্টোগ্রামের অন্দরকিল্লা শাহি দামে মসজিদের চত্বর থেকে এই ডাক দেওয়া হয়। হেফজতে ইসলামের চট্টোগ্রাম শাখার তরফে এই ডাক দেওয়া হয়।
‘হুঁশিয়ার.. সাবধান.. তালা দেব ইসকনে’, এই স্লোগানের সুর চড়া করে বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার ডাক দেওয়া হয়। চট্টোগ্রাম এলাকার হাজারি লেনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ দেখা যায়। উল্লেখ্য, এই হাজারি লেনেই ওসমান আলি নামে এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা হয়। তার নিন্দা করা হয় এদিন। যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপেরও নিন্দা করা হয়। ঘটনার নিন্দা করে তাদের গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়। তবে প্রশ্ন উঠছে, ইসকনকে ঘিরে এই পদক্ষেপের ডাক কেন দিল ওই সংগঠন?
এই সমাবেশ থেকে হেফাজতের সেন্ট্রাল অ্যাসিসটেন্ট পাবলিসিটি সেক্রেটারি সায়েম উল্লা বলেন,'আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই, ইসলাম কোনও হিন্দু সংগঠন নয়। এটি এটি সনাতনী বিরোধী উগ্রপন্থী গোষ্ঠী।' বেশিরভাগ মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে গঠিত একটি ইসলামি গোষ্ঠী হেফাজত শুক্রবার নামাজের পর আন্দরকিল্লাহ মোড়ে সমাবেশ করে। পরে তারা সেখান থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে একটি মিছিল বের করে।
এদিকে, ‘ইসকন, বাংলাদেশ’ আয়োজিত ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে দাবি করা হয়েছে যে, হাজারি লেনের ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই। বুধবার গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেয় ইসকন। এদিকে, হেফাজতের মিছিল ঘিরে গোটা চট্টোগ্রামে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। মৌলানা তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ হয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মৌলানা নূরনবী, আনোয়ার হোসেইনি, সালাউদ্দিন, আশরফ বিন ইয়াকুব, মহম্মদ রব্বানি। গোটা ঘটনার সূত্রপাত, হাজারি লেনের ব্যবসায়ী ওসমান আলির এক পোস্ট ঘিরে। সেই পোস্টে ইসকন বিরোধী বার্তা ছিল। তারপরই হাজারি লেনের ওই ওসমান ও তাঁর ভাইয়ের দোকানে শতাধিক মানুষ আগ্নিসংযোগ করতে উদ্যত হন বলে অভিযোগ। যৌথ বাহিনী গিয়ে দুই ভাইকে উদ্ধার করে।