ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল ওড়িশার সরকারি এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজে। এই অভিযোগ ওঠার পরেই কঠোর পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ। জুনিয়র ছাত্রকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে এমবিবিএসের চতুর্থ বর্ষের ৫ জন পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করল কর্তৃপক্ষ। বুধবার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পাঁচ ছাত্রকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে র্যাগিংয়ের অভিযোগে এই পাঁচ ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল ৬ মাসের জন্য। আর এবার হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হল। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আক্রান্ত প্রথম বর্ষের ছাত্র, উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ
বেরহামপুরের পুলিশ সুপার সবার্ন বিবেক এম হলেন মেডিক্যাল কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির অন্যতম সদস্য। তিনি বলেন, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের ঘটনা আরও যেন না ঘটতে পারে তার জন্য এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি কলেজের ডিন সুচিত্রা দাস।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হয়েছে। তার ভিত্তিতে এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ ওই ছাত্রদের বয়ান রেকর্ড করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার। প্রসঙ্গত, এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের একজনকে ছাত্রকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত ছাত্র ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। এর পাশপাশি ছাত্রের পরিবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের (এনএমসি) কাছে র্যাগিংয়ের আরও তিনটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এনএমসি কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগের তদন্ত করে দ্রুত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এদিকে, এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই মেডিক্যাল কলেজের অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে। তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে জানতে পারে, সত্যি সত্যিই র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়া। এরপরেই কমিটি সব পক্ষকে ডেকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শেষে ছাত্রদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কঠোর পদক্ষেপ করে কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নেই কমিটি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের দুই পড়ুয়াকে ২ মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।