১ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি একটি বিস্কুট, ১৯ কোটিরও বেশি নগদ টাকা এবং রুপোর তৈরি একটি পিস্তল ও একটি হ্যান্ডকাফ - রাজস্থানের চিত্তৌরগড়ে অবস্থিত সন্বলিয়া শেঠ মন্দিরে এসবই পৌঁছেছে দান হিসাবে! যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদেরই।
রাজস্থানের এই কৃষ্ণ মন্দিরটি যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। সেখানে কিছুদিন আগেই কোষাগারের হিসাব খতিয়ে দেখা হয়। তখনই মন্দির কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এই বিপুল অঙ্কের দানের নমুনা।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, দান হিসাবে শুধুমাত্র নগদ অর্থই জমা পড়েছে ১৯ কোটি টাকারও বেশি। দান সামগ্রীর মধ্যে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে একটি বিস্কুট। সোনা দিয়ে তৈরি সেই বিস্কুটের ওজন নাকি ১ কিলোগ্রাম! এছাড়াও, বহু ভক্ত ও পুণ্যার্থী মন্দিরে ছোট আকারের এবং কম ওজনের অসংখ্য বিস্কুট দান করেছেন।
এছাড়াও, সেই কোষাগারে পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু অনন্য ধরনের দান সামগ্রী। যার মধ্যে রয়েছে - রুপোর তৈরি পিস্তল, হ্যান্ডকাফ। সেইসঙ্গে, খাঁটি রুপোয় তৈরি তালা-চাবি এবং বাঁশিও ভক্তরা দান করেছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মন্দিরে যেসমস্ত দান সামগ্রী এসেছিল, সেসবের হিসাবে করার সময়েই এইসব উপহারের তালিকা সামনে আসে। সূত্রের দাবি, আজ পর্যন্ত মন্দিরে যত দান পড়েছে, তার মধ্যে এবারের এইসব দান সামগ্রীর মূল্যই সর্বাধিক।
এই মন্দিরের কোষাগারের দরজা দুই মাস অন্তর খোলা হয়। যথেষ্ট পরিমাণে দান সামগ্রী জমা হয় বলেই ধাপে ধাপে সেসবের হিসাব করা হয়।
এবারের গণনার সময় যেমন - প্রথম ধাপে ১১.৩৪ কোটি টাকার হিসাব পাওয়া যায়। দ্বিতীয় দফায় মেলে আরও ৩.৬০ কোটি টাকা। তৃতীয় পর্যায়ে গোনার কাজ শুরু হলে আরও ৪.২৭ কোটি টাকার নগদ পাওয়া যায়।
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৯.২২ কোটি নগদের হিসাব শেষ হয়েছে। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। ফলত, তা আরও কয়েক কোটি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও, প্রণামীর বাক্সে আরও যেসমস্ত সোনা ও রুপোর সামগ্রী জমা হয়ে রয়েছে, অনলাইনে দানবাবদ যত টাকা এসেছে এবং মন্দিরের গিফ্ট রুম-এ যত সামগ্রী রয়েছে, সেসবের হিসাব করা এখনও বাকি বলে শোনা যাচ্ছে।
সাধারণত, প্রত্যেক মাসে অমাবস্যা থেকে মন্দিরের কোষাগারে থাকা দান সামগ্রী গোনার কাজ শুরু হয়। কিন্তু, এবার যে পরিমাণ দান সামগ্রী পড়েছে, তাতে অনুমান করা হচ্ছে, পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ৬ থেকে ৭ দফা কাজ করতে হবে।