দিওয়ালির রাতে আটটি অর্ডার ডেলিভার করে রোজগার মাত্র ৩১০ টাকা! তাঁর সেই সফরের ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন জোম্যাটোর এক ফুড ডেলিভারি পার্টনার। উৎসবের রাতে এক যুবকের এহেন লড়াই দেখে আবেগতাড়িত নেট নাগরিকরা।
দিওয়ালির রাতে যখন সারা দেশ আলোর রোশনাইয়ে ভাসছে, ঠিক সেই সময়েই খাবার ডেলিভারি করতে বের হন ঋত্বিক তোমর। তিনি একজন পার্ট-টাইমার হিসাবে জোম্য়াটোয় ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করেন।
তাঁর দিওয়ালির রাতের সফরনামা ইতিমধ্যেই ভাইরাল ইনস্টাগ্রামে। ইতিমধ্যেই ১৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ সেই ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫০ হাজারের গণ্ডী। কমেন্ট করেছেন অসংখ্য ইনস্টাগ্রাম ইউজার।
সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োর তথ্য বলছে, দিওয়ালির দিন জোম্য়াটো পার্টনার হিসাবে বিকেল ৫টার সময় কাজ শুরু করেন তোমর। সেদিন মেরঠে তাঁর প্রথম অর্ডারটি ডেলিভার করে ৪০ টাকা উপার্জন করেন তিনি। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা ধরে, লাগাতার শহরজুড়ে অর্ডার ডেলিভার করতে থাকেন তোমর।
সেইসঙ্গে, তিনি তাঁর প্রত্যেকটি সফর মোবাইলে রেকর্ড করেন এবং এক-একটি অর্ডার ডেলিভার করে তিনি মোট কত টাকা রোজগার করেন, তাও ভার্চুয়ালি নথিভুক্ত করে রাখেন। পরে সেগুলিই ভিডিয়ো বা রিলের আকারে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তিনি।
শিফট শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, সব মিলিয়ে ৩১০ টাকা রোজগার করেছেন তোমর। প্রসঙ্গত, ওই রাতে তিনি কাজ শেষ করে ১১টা নাগাদ। সব মিলিয়ে আটটি খাবারের অর্ডার ডেলিভারি করেন।
প্রসঙ্গত, এই খাবার ডেলিভারি করতে যে পরিমাণ মোটরবাইকের জ্বালানি খরচ হয়েছে, তা কিন্তু তাঁর নিজের পকেট থেকেই যাবে। পাশাপাশি, তিনি যদি ওই সময়ের মধ্যে নিজে টিফিন খেয়ে থাকেন, তাহলে সেই খরচও তাঁর ব্যক্তিগত।
দিওয়ালির রাতে এক জোম্যাটো ডেলিভারি এজেন্টের এই লড়াই এবং পেশাদারিত্ব মুগ্ধ করেছে নেট ব্যবহারকারীদের। তাঁরা অনেকেই আবেগ ভরে নানা কথা লিখেছেন কমেন্ট সেকশনে।
একজন যেমন মন্তব্য করেন, 'অন্তত আজকের দিনটা তো ছুটি নিতে পারতে।' সেই কমেন্টের জবাবে তোমর লিখেছেন, 'না পারতাম না। আমরা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।'
আরও একজন লিখেছেন, 'দিওয়ালিতে প্রত্যেকটি ডেলিভারি পিছু জোম্যাটো ২৫ টাকা করে ইনসেনটিভ দিয়েছে।' এর প্রেক্ষিতে তোমর জানান, তিনি অন্তত কোনও ইনসেনটিভ পাননি।
আরও এক ইউজার লিখেছেন, 'এই কারণেই আমি শুধু মাঝেমধ্যেই জোম্য়াটো, ব্লিংকিট ব্যবহার করি।' অন্য একজনের মন্তব্য হল, 'প্রার্থনা করি, তুমি সফল হও।'